কর্পোরেট শব্দের অর্থ কি ও এর সুবিধা ও অসুবিধা কি কি

কর্পোরেট হচ্ছে কর্পোরেশন শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। ইংরেজি কর্পোরেশন শব্দের বাংলা প্রতিশব্দ হচ্ছে সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান। এখানে একটি দল বা সংস্থা, রাষ্ট্র দ্বারা স্বীকৃত একক স্বত্বা হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ কর্পোরেশন তৈরি হয় কোন সংস্থা দ্বারা অথবা একদল মানুষ দ্বারা। এটি রাষ্ট্রের আইন দ্বারা স্বীকৃত হয় এবং একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করে। কর্পোরেট গুলোর নিজস্ব পরিচালনা পর্ষদ থাকে এবং তারা সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়া পরিচালিত হয়। এমনকি তাদের নিজস্ব আইন ব্যবস্থা থাকে। মালিকানার ভিত্তিতে দুই ধরনের কর্পোরেশন দেখা যায় যেমন গ্রুপ অফ কর্পোরেশন এবং স্বতন্ত্র কর্পোরেশন। বিভিন্ন দেশের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করলে দেখা যাবে যে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো সরকার তৈরি করে থাকে। যেমন বাংলাদেশের সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত পেট্রোলিয়াম ও শিপিং কর্পোরেশন।  

তাদের জন্য আলাদা আলাদা আইন করা থাকে যাতে উক্ত প্রতিষ্ঠান গুলো সরকারের পক্ষে এবং সরকারের সুবিধার জন্য কাজ করে। এই ধরনের প্রতিষ্ঠান অন্য সকল সাধারণ কোম্পানির মতই কাজ করে। অর্থাৎ তারা সরকারি-বেসরকারি কন্ট্রাক্ট নিতে পারে, লোণ নিতে পারে, কর্মী হায়ার করতে পারে, অন্য কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে, অন্য কোম্পানি তাদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে এবং শেয়ার হোল্ডার সম্পদের মালিক হতে পারে। কর্পোরেশন তৈরি হয় শেয়ারহোল্ডার দের দ্বারা। তারা স্টক হোল্ডার হিসেবে কাজ করে এবং কর্পোরেশন পরিচালনা করার জন্য পরিচালনা পর্ষদ নিয়োগ করে থাকে। এই পরিচালনা পর্ষদ সংবিধানের আইন মেনে উক্ত প্রতিষ্ঠান স্বায়ত্তশাসিত হিসেবে পরিচালনা করে থাকে। এই ধরনের প্রতিষ্ঠানের কোন লোণ থাকলে তা শেয়ার হোল্ডারদের উপর বর্তায় না। অর্থাৎ আপনি যদি কোন কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের শেয়ার হোল্ডার বা স্টক হোল্ডার হয়ে থাকেন তাহলে কোম্পানিরর লসের দ্বায় আপনাকে পরিশোধ করতে হবে না। 

যদিও কর্পোরেটের উপর সরকারি সকল ধরনের আইন বাধ্যতামূলক থাকে তবে তারা তাদের প্রতিষ্ঠান কীভাবে পরিচালনা করবে তা নিজেরাই নির্ধারণ করে। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে যে যত শতাংশ শেয়ারের মালিক মুল প্রতিষ্ঠানের ঠিক অত শতাংশের মালিক। অর্থাৎ শেয়ারের উপর ভিত্তি করে মালিকানা নির্ধারিত হয়। পাশাপাশি কর্পোরেশন থেকে যে লাভ আসে ওই লাভের পরিমাণের ঠিক তত (যত শতাংশ শেয়ার রয়েছে) অংশের মালিক। যার শেয়ারের পরিমাণ যত বেশি, সাধারণ সভায় তার ভোটের বা কথার দাম তত বেশি হয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমরা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সরকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে ধরে থাকি। যেমন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন, বাংলাদেশ সিটি কর্পোরেশন। এগুলো সাধারণত সরকার দ্বারা অনুমোদিত স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। তবে এরা সরকারের পক্ষে এবং সরকারের জন্য কাজ করে। 

কর্পোরেশনের সুবিধা কি?

নিচে কর্পোরেশনের সুবিধা গুলো কি কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো। 

ব্যক্তিগত দায় সুরক্ষা

কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের অংশীদার হওয়ার অন্যতম বড় সুবিধা হচ্ছে ব্যক্তিগত দায় সুরক্ষা পাওয়া যায়। অর্থাৎ কোন কারণে যদি আপনার প্রতিষ্ঠান মামলা খায় বা এই ধরনের কোন আইনি বা আর্থিক ঝামেলায় পড়ে তাহলে আপনি একজন শেয়ারহোল্ডার হিসেবে সুরক্ষিত থাকবেন। উক্ত মামলা আপনার উপরে বর্তাবে না। পাশাপাশি উক্ত সমস্যা নিরসন করতে কর্পোরেশনের কাছে যদি পর্যাপ্ত অর্থ না থাকে তারপরেও আপনি স্টক হোল্ডার হিসেবে সুরক্ষিত থাকবেন। 

ব্যবসার নিরাপত্তা

কর্পোরেটে ওনারশিপ নির্ভর করে স্টক ওনারশিপ এর উপর। অর্থাৎ উক্ত কর্পোরেশনে আপনার যত শতাংশ শেয়ার আছে আপনি ঠিক তত শতাংশ কোম্পানির মালিক। C-corp বাদে বাকি যত কর্পোরেশন প্রকারভেদ রয়েছে তাদের উপর প্রতিষ্ঠানের ট্যাক্স অ্যাপ্লাই হয় না শুধু আপনার ইনকাম ট্যাক্স দিতে হবে। পাশাপাশি আপনি সহজেই আপনার শেয়ার বিক্রি করে ওনারশিপ পরিবর্তন করতে পারবেন। এতে আইনি ঝামেলায় পরতে হয় না। অন্যদিকে কোন কারণে যদি শেয়ার হোল্ডার মারা যায় তাহলে সহজেই ওনারশিপ অন্যজনের কাছে হস্তান্তর করা যায়। 

পুঁজিবাজারে প্রবেশ

কর্পোরেশনে শেয়ার থাকার কারণে আপনি সহজেই পাবলিক শেয়ার বাজারে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। অর্থাৎ এই ব্যাবসায়িক স্ট্রাকচারের মাধ্যমে আপনি আপনার প্রাইভেট শেয়ারকে স্টক মার্কেটে পাবলিক করার মাধ্যমে ট্রেডিং করতে পারবেন। পাশাপাশি পুঁজিবাজারে থাকার কারণে কর্পোরেশনে ইনভেস্টর বন্ডের মাধ্যমে ইনভেস্ট করতে আগ্রহী হয়। 

ট্যাক্স সুবিধা

কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের শেয়ার হোল্ডারগন ট্যাক্স এর বিষয়ে বিশেষ সুবিধা পায়। যদিও C-corp এ ডাবল ট্যাক্স দেওয়ার ঝামেলা পোহাতে হতে পারে। তবে অন্যান্য প্রকারভেদে যেমন S-corp, B-corp ইত্তাদিতে শেয়ার হোল্ডারদের উপর ট্যাক্স রিটার্ন জমা দেওয়ার দায়িত্ব বর্তায় না। C-corp বাদে যে এন্টিটি রয়েছে তারা কোম্পানি ভিত্তিক ট্যাক্সের আওতায় না পরে ইনকাম ট্যাক্স এর আওতায় পরে। কর্পোরেশনের মালিকগন ট্যাক্স ফ্রি পেনশন এবং ইনস্যুরেন্স পেতে পারে। 

মালিকানা হস্তান্তর অনেক সহজ

বিজনেস শুরু করার পর যদি কোন কারণে পদত্যাগ সহ মালিকানা হস্তান্তর করার প্রয়োজন হয় সে সময় অনেকগুলো আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। কিন্তু কর্পোরেট কোম্পানি থেকে আপনি চাইলে যে কোন সময় লিভ নিতে পারবেন। এখানে আপনাকে শুধু আপনার ভাগের শেয়ার বিক্রি করে দিতে হবে। আপনি যদি কোম্পানির সবথেকে বেশি শেয়ারের মালিক হয়ে থাকেন তারপরেও সহজে লিভ নিতে পারবেন। 

কর্পোরেশনের যতগুলো সুবিধা আছে সহজ মালিকানা হস্তান্তর তার মধ্যে অন্যতম। বিজনেসের অন্যান্য এন্টিটিতে যেমন পার্টনারশিপ বিজনেসে মালিকানা পরিবর্তন করার সময় নতুন করে কন্ট্রাক্ট তৈরি করার প্রয়োজন পরে। মালিক পরিবর্তন হওয়ার কারণে অনেক ক্লাইন্ট বিজনেস থেকে লিভ নেওয়ার রিস্ক থাকে। অন্যদিকে, কর্পোরেশন তার মালিক পক্ষ দ্বারা নিয়োজিত পরিচালনা পর্ষদ দ্বারা পরিচালিত হয়। যে কারণে কর্পোরেশনের ফেস হিসেবে উক্ত প্রতিষ্ঠানদের CEO থাকে। যেমন অ্যাপলের CEO হচ্ছে টিম কুক। কর্পোরেশনের মালিকদের মধ্যে যদি কেউ কোন কারণে লিভ নেয় তাহলে তা আর সবার সামনে আসে না। অর্থাৎ বিজনেসের সাথে ক্লাইন্টের সুসম্পর্ক বজায় থাকে। 

নির্দিষ্ট কোন লাইফ লিমিট নেই

কর্পোরেটের বিজনেসে মালিকানা পরিবর্তন করা সহজ হওয়ার কারণে এর কোন নির্দিষ্ট লাইফ লিমিট নেই। অন্য অনেক বিজনেস এন্টিটিতে বিজনেস বিক্রি করে দেওয়ার মাধ্যমে লাইফ লিমিট শেষ হয়ে যায়। কিন্তু কর্পোরেট বিজনেসে শেয়ার হোল্ডার পরিবর্তন হওয়ায় মূল বিজনেসের উপরে কোন প্রভাব পরে না। অন্যদিকে কোম্পানি পরিচালনা করা হয় আলাদা পরিচালনা পর্ষদ দিয়ে। এতে কোন একজন নির্দিষ্ট শেয়ার হোল্ডারের স্বৈরাচারীতা চলে না। যে কারণে কেউ তার শেয়ার বিক্রি করে দিলে অথবা মারা গেলেও মূল বিজনেস তার নিজ গতিতে চলে।

সহজে ইনভেস্টর পাওয়া যায় 

কর্পোরেট বিজনেস ইনভেস্টরকে আকৃষ্ট করার দিক দিয়ে সব থেকে এগিয়ে। অন্যান্য বিজনেস এন্টিটি যেমন LLC বা Startup এ ইনভেস্ট করার ক্ষেত্রে রিস্ক অনেক বেশি নিতে হয়। অন্যদিকে কর্পোরেশন বিজনেসে এই রিস্ক অনেক কম। এখানে যেহেতু স্টক কেনার মাধ্যমে ইনভেস্ট করতে হয় সেহেতু যে কোন সময় শেয়ার বিক্রি করে নিজের ইনভেস্ট উঠিয়ে নেওয়া যায়। পাশাপাশি ট্যাক্স দেওয়ার ক্ষেত্রে শুধু ইনকাম ট্যাক্স দিতে হয়, যা ইনভেস্টরদের জন্য আইনগতভাবে অনেক সুবিধাজনক হয়।  

কর্পোরেশনের অসুবিধা কোনটি?

নিচে কর্পোরেশনের অসুবিধা গুলো কি কি সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।

ডাবল ট্যাক্স সমস্যা

কর্পোরেশন বিজনেসের ক্ষেত্রে এই সমস্যা সব থেকে বেশি দেখা যায়। সাধারণত ডাবল ট্যাক্স দেওয়া নিয়ে অনেক দ্বিমত রয়েছে। তবে কর্পোরেট বিজনেসগুলোকে এই সমস্যা ফেস করার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। যাইহোক, ডাবল ট্যাক্সেশন হচ্ছে এমন এক পদ্ধতি যেখানে কর্পোরেটের বার্ষিক আয় ও শেয়ার হোল্ডারের ইনকামের উপর কর দিতে হয়। এখানে যে বিষয় ঘটে তা হচ্ছে কর্পোরেশন তার লাভের উপর নির্ভর করে কর প্রদান করে। এখন এই লাভের অংশে কিন্তু শেয়ার হোল্ডারদের অংশও আছে। 

এতে কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে ট্যাক্স পরিশোধ করা হয়। কিন্তু শেয়ার হোল্ডারদের উপর যখন উক্ত কর্পোরেশন থেকে আয় করা ইনকামের উপর ট্যাক্স দিতে হয় তখন তা ডাবল ট্যাক্সেশন এর আওতায় পরে যায়। যদি কোন কর্পোরেশন ইন্টারন্যাশনাল পর্যায় কাজ করে তাহলে তার নিজের দেশে ট্যাক্স দেওয়ার পাশাপাশি যে দেশে বিজনেস করছে সেখানেও ট্যাক্স দিতে হয়। এখানেও তাকে ডাবল ট্যাক্সেশন এর মোকাবেলা করতে হয়। এই সমস্যা নিরসনে বিশ্বের ৩৭ টি দেশ মিলে Organization for Economic Co-Operation and Development (OECD) নামক চুক্তি করে। 

এই চুক্তির ভিত্তিতে কোন বিজনেস যদি ইন্টারন্যাশনাল হিসেবে বিস্তৃত হয় তাহলে ফ্রি মার্কেট ইকোনমির আওতায় যেন দুই দেশেই ট্যাক্স না দিয়ে শুধু যে দেশে প্রধান অফিস সেখানে ট্যাক্স দিতে হয়। এই চুক্তি সাধারণত শুধু ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও তাদের সমমনা দেশের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে। এশিয়ার কোরিয়া ও জাপান এই লিস্টে থাকলেও উপমহাদেশের কোন দেশ এই চুক্তির অংশ নয়।  

ব্যয়বহুল

একটি কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা করা অনেক ব্যয়বহুল। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান বিশাল আকৃতির হয়। এখানে অন্যান্য বিজনেসের থেকে অনেক বেশি মূলধনের ব্যবহার করার প্রয়োজন পরে। আমরা জানি কর্পোরেট বিজনেস পরিচালনা করার জন্য আলাদাভাবে পরিচালনা পর্ষদ নিয়োগ দেওয়া হয়।  পাশাপাশি অফিস স্পেস অনেক বড় প্রয়োজন হয় এবং কর্মক্ষেত্র বিশাল হয়। এই সব তদারকি ও পরিচালনা করার জন্য আলাদা ভাবে আইন প্রণয়ন ও প্রতিপালনের প্রয়োজন পরে। একটি স্টার্টআপ অথবা LLC প্রতিষ্ঠান শুরু করার সাথে তুলনা করলে কর্পোরেট বিজনেস অনেক বেশি ব্যয়বহুল। 

আবেদন প্রক্রিয়া অনেক দীর্ঘ

কোন প্রতিষ্ঠানকে কর্পোরেট হিসেবে রেজিস্ট্রেশন করতে স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি সময় লাগে। সাধারণত রেজিস্ট্রেশন প্রসেসে অনেক বেশি ডকুমেন্টের প্রয়োজন পরে। উক্ত ডকুমেন্টগুলো তৈরি করতে এবং তা দাপ্তরিক ভাবে স্বীকৃতি পেতে অনেক লম্বা সময়ের প্রয়োজন পরে।  কোম্পানিকে কর্পোরেট হিসেবে লিগ্যাল করতে হলে প্রথমে একটি স্বতন্ত্র আইন তৈরি করতে হয়, বোর্ড অফ ডিরেক্টর তৈরি করতে হয়, শেয়ার হোল্ডার মালিকানা পরিবর্তন এগ্রিমেন্ট, স্টক সার্টিফিকেট ইত্যাদি ডকুমেন্ট থাকতে হয়। অন্যদিকে অ্যাটর্নি ফি, ডকুমেন্ট ফাইলিং ফি, ট্যাক্স ডকুমেন্ট ইত্যাদি সকল ফর্মালিটি মেইনটেইন করতে করতে অনেক লম্বা সময় চলে যায়। 

বাধ্যতামূলক আনুষ্ঠানিকতা ও প্রোটোকল

সংঘবদ্ধ কোন প্রতিষ্ঠান বা গোষ্ঠীকে পরিচালনা করার জন্য নিয়ম কানুন থাকা অনেক জরুরি। যখন কোন আইন বা নিয়ম থাকবে না তখন সেখানে বিশৃঙ্খলা হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। যেহেতু কর্পোরেট বিজনেস অনেক বড় হয় এবং অনেক মতের মানুষের মিলিত প্রচেস্থা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত থাকে সেহেতু এখানে আইন প্রয়োগ করা অনেক জরুরি। তা না হলে কোন নিয়মানুবর্তিতা থাকবে না।  এই কারণে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে অনেক বাধ্যতামূলক নিয়ম থাকে যা পালন করতে হয়। বিশেষ করে কর্পোরেট আইন অনুসরণ, বোর্ড অফ ডিরেক্টরদের নিয়োগ ও মেইন্টেইন, ট্যাক্স প্রদান, বার্ষিক মিটিং ইত্যাদি মেইন্টেইন করতে হয়। 

নিয়ন্ত্রণ কম

কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের সকল ধরনের কার্যক্রম ও পরিচালনা করার জন্য প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত বোর্ড অফ ডিরেক্টরস নিয়ে থাকেন। পাশাপাশি প্রতিষ্ঠানের পুরো নিয়ন্ত্রণ বোর্ড এর সদস্যদের উপরেই থাকে। যে কারণে দেখা যায় শেয়ার হোল্ডার দের কর্পোরেশন পরিচালনা পদ্ধতি নিয়ে তেমন ভাবতে হয় না। তারা কর্পোরেশন পরিচালনা করার ক্ষেত্রে প্রত্যক্ষভাবে সংযুক্ত থাকে না। এতে দেখা যায় যারা কোম্পানির মালিক বা শেয়ার হোল্ডার তাদের হাতে তেমন কন্ট্রোল থাকে না। যে কারণে অনেকের কাছে নিয়ন্ত্রণের অভাব মনে হতে পারে। তবে যারা এরকম মনে করে তাদের জন্য সোলোপ্রেনারশিপ বা LLC জাতীয় কোম্পানি বেশি উপযুক্ত। 

শেষ কথা

কোম্পানি তৈরি করার পূর্বে আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় মাথায় রাখতে হয়। বিশেষকরে কোম্পানি রেজিস্ট্রেশন হবে কোন এন্টিটিতে সে বিষয়ে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হয়। কারণ এখানে ভুল হয়ে গেলে আর্থিক দিক দিয়ে অনেক বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়। এই কারণে কোন এন্টিটি কি কি সুবিধা প্রদান করে এবং কোন ধরনের আইনি সুবিধা পাওয়া যায় সে সম্পর্কে পূর্বে থেকেই জেনে নিতে হয়।