কালচার অর্থ হচ্ছে আচার, ব্যবহার, রুচি ও ব্যক্তি স্বাধীনতা। কর্পোরেট দুনিয়ায় সবার জন্য উপযুক্ত কালচার প্রোভাইড করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। যদি প্রতিষ্ঠানের ভিতরে কাজের পরিবেশ অনেক ভালো হয় এবং সবার সুবিধা-অসুবিধা বিবেচনা করা হয় তাহলে প্রোডাক্টিভিটি বৃদ্ধি পায়। কর্পোরেট কালচার আসলে কি সে সম্পর্কে আমাদের মধ্যে অনেক কনফিউশন কাজ করে। এখানে কর্পোরেট কালচার কি, এর প্রকারভেদ, গুরুত্ব ও উন্নত করার উপায় নিচে দেওয়া হলো।
ড্রেস কোড
কোন কোম্পানির ড্রেস কোড থেকে উক্ত কোম্পানি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। সাধারণত ফরমাল ও ক্যাজুয়াল দুই ধরনের ড্রেস কোড প্রচলিত রয়েছে। ফরমাল ড্রেস কোড সিস্টেম অনুসরণ করা হয় ট্রেডিশনাল কর্পোরেশন গুলোতে। বিশেষ করে বড় বড় কর্পোরেশন যেমন ফাইনান্সিয়াল ও ল ফার্ম গুলোতে এই ধরনের ড্রেস কোড ফলো করা হয়। এর পেছনে কারণ হচ্ছে ফরমাল ড্রেস প্রফেশনালিজম ও প্রতিষ্ঠানের গঠন সম্পর্কে ধারনা দেয়।
অন্যদিকে আইটি ও স্টার্টআপ কোম্পানিতে ক্যাজুয়াল ড্রেস কোড রাখার বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়। এর কারণ হচ্ছে এই ধরনের প্রতিষ্ঠান গুলোতে আরাম, স্বাচ্ছন্দ্য ও সৃজনশীলতাকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। তবে কর্পোরেশনের ম্যানেজার এবং কর্মী কি ধরনের ড্রেস পরে তা থেকে কোম্পানি কোন ধরনের কালচারে বেশি প্রাধান্য দেয় সে সম্পর্কে ভালো ধারণা পাওয়া যায়।
বিজনেস আওয়ার
কাজের ক্ষেত্রে কতটুকু ফ্লেক্সিবিলিটি পাওয়া যায় ও কতক্ষণ ওয়ার্ক আওয়ার সেট করা আছে তা থেকে উক্ত কোম্পানি কাজ এবং পার্সোনাল লাইফকে কীভাবে দেখে তা বোঝা যায়। কর্পোরেট কালচারে এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ আমরা কর্পোরেট বলতে সাজানো-গোছানো ও নিয়ম মাফিক চলা পরিবেশকে বুঝি। সে ক্ষেত্রে বিজনেস আওয়ার বা ডিউটি আওয়ার হিসেবে একটি নির্দিষ্ট সময় থাকা জরুরি। বিশেষ করে যারা ইনহাউজ হিসেবে কর্পোরেটে কাজ করবে তাদের নির্দিষ্ট টাইম থাকা জরুরি। এতে উক্ত প্রতিষ্ঠানে তার কন্ট্রিবিউশন যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি একঘেয়েমি তৈরি হবে না।
অফিস সেটআপ
কোম্পানি কালচারে অফিসের সেটআপ অনেক বড় ভূমিকা রাখে। কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানে সাধারণত দুই ধরনের অফিস সেটাপ হয়ে থাকে। এদের মধ্যে ওপেন প্ল্যান অফিসে কর্মকর্তাদের মধ্যে সহযোগিতা, স্বচ্ছতা ও সহজ যোগাযোগ থাকে। যা একটি সুন্দর গোছানো দল ভিত্তিক কালচার প্রদর্শন করে। অন্যদিকে কিউবিকল বা বন্ধ অফিস ধারণায় গোপনীয়তা কে সবথেকে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। এই কালচারে সাধারণত কর্মকর্তাদের আলাদা আলাদা অফিস থাকে। গতানুগতিক কর্পোরেশন গুলোতে এই ধরনের কালচার সব থেকে বেশি দেখা যায়।
হায়ারিং পদ্ধতি
প্রতিষ্ঠানে কি পদ্ধতিতে কর্মী নেওয়া হয় তার উপর নির্ভর করেও কর্পোরেটে কালচার সম্পর্কে ধারনা পাওয়া যায়। সাধারণত অনেক কর্পোরেশনে হায়ার করার জন্য উক্ত ক্যান্ডিডেট কর্পোরেট কালচার সম্পর্কে অবগত কিনা বা কালচারাল ফিট কি না তা বিবেচনা করা হয়। কারণ পরবর্তীতে যেন উক্ত কর্মী কাজে যোগদান করার পর কর্পোরেট কালচারের সাথে মানিয়ে নিতে পারে। অন্যদিকে কোন কোন কর্পোরেশন আছে বিশেষ করে যারা গ্লোবালি কাজ করে তারা হায়ারিং এর ক্ষেত্রে ফ্লেক্সিবিলিটি সমর্থন করে।
ইমপ্লয়ি বেনিফিট
একটি কর্পোরেটে পজিটিভ বা নেগিটিভ কোন ধরনের কালচার প্রচলিত আছে তা ইমপ্লয়িদের দেওয়া বেনিফিট থেকে ধারনা পাওয়া যায়। পজিটিভ কর্পোরেট কালচারে স্বাস্থ্য সুবিধা, বিশেষ ছুটি ও সুস্থতা প্রোগ্রাম থাকে। এগুলো একজন কর্মীর সাধারণ চাহিদা এবং প্রতিষ্ঠান তা পুরন করে। তবে অনেক কর্পোরেশনে এই ধরনের সুবিধা থাকে না। সে ক্ষেত্রে উক্ত প্রতিষ্ঠানে সাধারণ কর্মীদের অধিকার তেমন ভাবে মেইন্টেইন করা হয় না তা নিশ্চিত হওয়া যায়।
ক্লায়েন্টের সন্তুষ্টি
একটি পজিটিভ কালচারের কোম্পানি তার ক্লাইন্টদের সম্পর্কে অনেক বেশি সচেতন থাকে। তারা চেষ্টা করে তাদের ক্লাইন্ট যেন সর্বোচ্চ পরিমাণের সন্তুষ্টি লাভ করে। এই ক্ষেত্রে প্রোডাক্টের গুণগত মান, সেবার মান, কাস্টমার সার্ভিস, নৈতিকতা ইত্যাদি বিষয়কে বেশি প্রাধান্য দেওয়া হয়। অন্যদিকে যে প্রতিষ্ঠানে নিয়মানুবর্তিতা, দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থা ও দুর্বল কাস্টমার সাপোর্ট থাকে সেখানে পজিটিভ কর্পোরেট কালচার অনুপস্থিত তা বোঝা যায়।
কর্পোরেট কালচারের প্রকারভেদ
নিচে কর্পোরেট কালচার কত প্রকার হয় এবং সেগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
ক্ল্যান কালচার
ক্ল্যান শব্দের অর্থ হচ্ছে গুচ্ছ বা দল। এটি একই সাথে একই উদ্দেশ্য সফল করতে কাজ করা একটি দলকে বোঝায়। কর্পোরেট ক্ল্যান কালচার বলতে টিম ওয়ার্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতাকে নির্দেশ করে। এই কালচারে যারা ম্যানেজমেন্টে থাকে তারা তাদের অধীনস্থদের সঠিক পথে গাইড করে থাকে। যে কারণে পরস্পরের মধ্যে শক্তিশালী সম্পর্ক তৈরি হয় এবং বিশ্বাস, উৎসাহ ও অংশগ্রহণ বৃদ্ধি পায়। এই ধরনের কালচারে কর্মীদের মধ্যে বেশি উৎসাহ থাকে যে কারণে প্রোডাক্টিভিটি অনেক বৃদ্ধি পায়।
আধিপত্য কালচার
এই ধরনের কালচারে কর্মীদের চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে হয়। ম্যানেজমেন্ট থেকে সবাইকে বলা হয় যেন টিম লিডার থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মীদের মধ্যে একটি উদ্যোক্তা মাইন্ড সেট কাজ করে। এতে সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং সবার মধ্যে কাজের স্পৃহা বাড়ে। পাশাপাশি যেহেতু ভালো কাজের মাধ্যমে লাইমলাইটে আসা যায় সেহেতু সবাই ইনোভেটিভ ভাবে কাজ করে থাকে। এই ধরনের কালচার থাকা প্রতিষ্ঠান থেকেই নতুন নতুন প্রোডাক্ট ও সার্ভিসের উদ্ভব হয়। তবে আধিপত্য কালচার ব্যয়বহুল প্রোজেক্ট শুরু করা ও তা থেকে প্রফিট না আসার বিষয়ে একটি রিস্ক তৈরি হয়।
মার্কেট কালচার
কর্পোরেট দুনিয়ায় সবথেকে বেশি যে কালচার অনুসরণ করা হয় তার মধ্যে মার্কেট কালচার সব থেকে উপরে রয়েছে। এখানে ম্যানেজমেন্ট প্রোজেক্ট সম্পূর্ণ করার পেছনে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে। এই কালচারে কর্মীদের কে তাদের ওপর অর্পিত কাজ কমপ্লিট করার দিকে জোর দেওয়া হয়। এখানে কর্পোরেটের মার্কেটে উপস্থিতি এবং প্রফিটের জন্য যা যা করা দরকার তা বাস্তবায়ন করা হয়। মার্কেট কালচারে কাজের চাপ অনেক বেশি থাকে তবে অনেক ক্ষেত্রে সাধারণ কর্মী তাদের কাজের জন্য এক্সাইটেড থাকে।
হায়ারারকি কালচার
এটি ট্র্যাডিশনাল কর্পোরেট কালচার। এখানে চেইন অফ কমান্ড হিসেবে উপরের ম্যানেজমেন্ট থেকে শুরু করে নিম্ন পর্যায়ের কর্মী পর্যন্ত কাজ বণ্টন করা থাকে। এই অফিস কালচার অনেক স্টাবল এবং কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য গতানুগতিক পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকে। এখানে সবার পজিশন ও কার কি কাজ সে বিষয়ে কোন ধরনের কনফিউশন থাকে না। সবাই নিয়ম মেনে কাজ করে জন্য প্রোজেক্ট কমপ্লিট হওয়ার পরিমাণ বৃদ্ধি পায়।
কর্পোরেট কালচারের গুরুত্ব
একটি প্রতিষ্ঠানে কর্পোরেট কালচার প্রতিপালন করা অনেক দিক দিয়ে উপকার করে। নিচে পজিটিভ কর্পোরেট কালচারের গুরুত্ব বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
কাজের প্রতি গুরুত্ব ও সন্তুষ্টি বাড়ায়
পজিটিভ কর্পোরেট কালচারে সাধারণ কর্মী ও টিম লিডার বা ম্যানেজারের সাথে সুসম্পর্ক বজায় থাকে। যে কারণে কাজের ক্ষেত্রে গুরুত্ব অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়। সাধারণ কর্মীদের মধ্যে কোম্পানির মিশন ও ভিশন কাজ করে যে কারণে তারা কাজের প্রতি নিজে থেকে গুরুত্ব বাড়িয়ে দেয়। অন্যদিকে ভালো কাজের বাহবা পেলে সবার মনে অন্যরকম সন্তুষ্টি কাজ করে।
প্রোডাক্টিভিটি বৃদ্ধি করে
যত্রতত্র ও অগোছালো কাজ থেকে সহজে ভালো ফলাফল আসা করা যায় না। কারণ কোন নিয়ম না মেনে কাজ করলে যেমন সময় বেশি প্রয়োজন হয় তেমনি প্রোডাক্টিভিটি কমে যায়। অন্যদিকে নিয়ম মেনে এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করে কাজ করা হলে সেখানে প্রোডাক্টিভিটি বৃদ্ধি পায়। এই ক্ষেত্রে কর্পোরেট কালচার অনেক বেশি কাজে দেয়। ছোট কিংবা বড় যে কোন ধরনের প্রতিষ্ঠানে পজিটিভ কালচার প্রতিষ্ঠা করা গেলে উৎপাদন যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি সবার মধ্যে কাজের স্পৃহা বৃদ্ধি পাবে।
কোম্পানির পরিচয় শক্তিশালী করে
ব্র্যান্ডিং, মার্কেটিং এর জন্য অন্যতম প্রয়োজনীয় জিনিস। একটি প্রতিষ্ঠান যখন ব্রান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা পায় তখন উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতি মানুষের বিশ্বাস বৃদ্ধি পায়। এতে প্রোডাক্ট বা সার্ভিস বিক্রি বেড়ে যায়। অন্যদিকে কোম্পানির ভাবমূর্তি উন্নত হয়। পাশাপাশি মার্কেটে প্রতিষ্ঠানটির ব্রান্ড ভ্যালু বৃদ্ধি পায়। আর এই সব কিছু সম্ভব হয় যখন বাস্তব সম্মত ও পজিটিভ কর্পোরেট কালচার প্রতিষ্ঠা পায়।
ট্যালেন্টেড মানুষদের আকৃষ্ট করে
যারা বাস্তবিক অর্থে ট্যালেন্টেড তারা কোন প্রতিষ্ঠানে যোগদানের পূর্বে উক্ত প্রতিষ্ঠানে কি ধরনের কালচার বিরাজমান তা বিচার করে থাকে। এখন কোন মানুষ কখনোই কিন্তু নিজে থেকে নেগেটিভ কর্পোরেট কালচারের সাথে মানিয়ে নিতে চাইবে না। যে কারণে প্রতিষ্ঠানে ট্যালেন্টেড মানুষদেরকে আকৃষ্ট করতে হলে অবশ্যই পজিটিভ কর্পোরেট কালচার প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।
কাস্টমার স্যাটিসফেকশন বাড়ায়
একজন কাস্টমারের সার্ভিস নিয়ে স্যাটিসফেকশন হওয়া নির্ভর করে এমপ্লয়িদের উপরে। এখন একটি টক্সিক কালচারে যারা থাকবে তারা স্বভাবত কাস্টমারকে গুরুত্ব কম দিবে বা তাদের সাথে খারাপ আচরণ করতেও দ্বিধা করবে না। এতে কাস্টমার হারানোর সম্ভাবনা অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। অন্যদিকে পজিটিভ কর্পোরেট কালচারে থাকা কর্মীদের মাঝে কাস্টমার কে ভালো করে ট্রিট করার প্রবণতা দেখা যায়। কারণ তারা তাদের অফিস কালচারে এই বিষয় প্র্যাকটিস করে থাকে।
কর্পোরেট কালচার উন্নত করার উপায়
কর্পোরেট কালচার উন্নত করতে হলে আমাদের আসলে কি কি বিষয়ে জানা জরুরি বা কোন বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া উচিত? নিচে অফিস কালচার উন্নত করতে কি কি করণীয় সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।
যৌক্তিক কথা বলার স্বাধীনতা
সাধারণ কর্মী ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজন হচ্ছে ওপেন কমিউনিকেশন। কর্মীদের সাথে টিম লিডার বা ম্যানেজারদের সাথে যদি যোগাযোগ ব্যবস্থা ঠিক না থাকে তাহলে দূরত্ব তৈরি হয়। আর এতে সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়ে থাকে প্রতিষ্ঠানের। যে কারণে কর্পোরেট কালচার উন্নত করতে যে বিষয়ে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে তা হচ্ছে যৌক্তিক কথা বলার স্বাধীনতা।
ভালো কাজের স্বীকৃতি
একটি টক্সিক কালচারে কর্মীদের অথবা টিম লিডারদের ভালো কাজের জন্য স্বীকৃতি বা বাহবা দেওয়া হয় না। যা কাজের প্রতি ভালবাসা ও স্পৃহা অনেক কমিয়ে দেয়। যখন কাউকে কোন উপহার দেওয়া হয় বা বলা হয় আপনার কাজ অনেক ভালো হয়েছে, তখন তার মধ্যে কনফিডেন্স অনেক বেশি বেড়ে যায়। কর্পোরেট কালচার উন্নত করতে হলে ভালো কাজের স্বীকৃতি নিশ্চিত করতে হবে।
কাজের সাথে জীবনযাপনের সামঞ্জস্যতা
অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা শুধু তাদের কর্মীদের থেকে কাজ বুঝে নেওয়ার ধান্দায় থাকে। কিন্তু তাদের পার্সোনাল লাইফ সম্পর্কে তেমন গুরুত্ব দেয় না। যা কর্মীর উক্ত প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে ভালবাসা এবং মায়া কমিয়ে দেয়। এই ধরনের পরিবেশে মানুষ বেশিদিন থাকে না এবং জব সুইচ করে থাকে। তবে পারফেক্ট কর্পোরেট কালচার প্রতিষ্ঠা করতে গেলে কাজ এবং পার্সোনাল লাইফের মধ্যে একটি ব্যালেন্স রাখতে হবে।
স্কিল ডেভেলপমেন্টের সুযোগ
প্রতিষ্ঠানে যে কর্মী রয়েছে তাদের মাইন্ডসেট বুঝতে হবে। যে প্রতিষ্ঠানে স্কিল ডেভেলপমেন্ট করার সুযোগ সব থেকে বেশি সে প্রতিষ্ঠানে কর্মীদের কাজের প্রতি ভালোবাসা বেশি থাকে। অন্যদিকে কর্মীদের মাঝে নিজেকে উন্নত করার এবং প্রোমোশন পাওয়ার স্পৃহা বৃদ্ধি পায়। যা পজিটিভ অফিস কালচার প্রমোট করে এবং কোম্পানির প্রফিটে সাহায্য করে।
আধুনিক কর্মক্ষেত্র তৈরি
আপনি যেখানে বসে কাজ করবেন তা যদি নোংরা এবং কাজ করার অনুপযোগী হয় তাহলে প্রোডাক্টিভিটি কমে যায়। অন্যদিকে উন্নত পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারলে সবার মধ্যে যেমন পজিটিভিটি বাড়ে তেমনি কাজের গতি বৃদ্ধি পায়।
পারফর্মেন্স রিভিউ
পারফর্মেন্স রিভিউ দ্বারা এমপ্লয়ির কাজের প্রতি ডেডিকেশন ও স্রদ্ধাবোধ বোঝা যায়। তাছাড়া এতে যে এমপ্লয়ি সত্যিকার অর্থে বেশি কাজ করেছে তাকে পুরস্কৃত করা যায়। এতে সবার মাঝে ভালো কাজ করার জন্য চাহিদা তৈরি হয়। এটি প্রতিষ্ঠানে পজিটিভ কালচার প্রতিপালন করে।
খারাপ আচরণ ও টক্সিডিটি দূর করা
একটি প্রতিষ্ঠানে পজিটিভ কর্পোরেট কালচার প্রতিষ্ঠার জন্য সবার প্রথমে খারাপ আচরণ ও টক্সিডিটি দূর করতে হবে। না হলে এমপ্লয়িদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হবে এবং কাজের প্রতি কেউ দায়িত্বশীল থাকবে না। যা প্রতিষ্ঠানের উন্নতি থেকে অবনতির দিকে নিয়ে যাবে।
অফিস পলিটিক্স নির্মূল করা
কর্পোরেট কালচারের সব থেকে নোংরা জিনিস হচ্ছে এই অফিস পলিটিক্স। এর বেড়াজালে পরে অনেক প্রতিষ্ঠান গুলো অনেক ট্যালেন্টেড এমপ্লয়িকে হারিয়ে ফেলে। আর মাঝে থেকে এক বিশেষ টক্সিক গোষ্ঠী সুবিধা ভগ করে থাকে। পজিটিভ কর্পোরেট কালচার প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে এই সমস্যা নির্মূল করা সম্ভব হয়।
শেষ কথা
কর্পোরেট কালচার একটি প্রতিষ্ঠানের ওভারঅল উদ্দেশ্য ও সফলতার সাথে সম্পর্কিত। ম্যানেজারদের সাধারণ কর্মচারীর সাথে ভালো ব্যবহার কাজের গতি অনেক বাড়িয়ে দেয়। পাশাপাশি কর্মীদের নিজেদের যৌক্তিক মতবাদ প্রকাশ করার স্বাধীনতা দেয়। সর্বোপরি কর্পোরেট কালচার প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করার জন্য অতীব গুরুত্বপূর্ণ।