ব্যবসায় লোকসান পোষানোর উপায় গুলো কি কি? 

ব্যবসায় লোকসান হওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। তবে এদের মধ্যে ফিন্যান্সিয়াল কারণ সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও ইফেক্টিভ। মূলত একজন বিজনেস ওনার হিসেবে মার্কেট কীভাবে পরিবর্তন হয় এই সম্পর্কে বিষদ ধারণা থাকা অনেক জরুরি। নিচে ব্যবসায় লোকসান পোষানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হল। 

ব্যবসায় লোকসান পোষানোর উপায় কি? 

ব্যবসায় লোকসান পোষানোর উপায় নিচে বর্ণনা করা হলো। 

খরচ কমানো

বিজনেসে লোকসান এক দিনে হয় না। এটি হতে সময়ের প্রয়োজন পরে। অনেক সময় দেখা যায় কোন একটি প্রোজেক্ট লস হলেও এতে মূল বিজনেস ধ্বংস হয়ে যায় না। সাধারণত বিজনেসে লোকসান কমানোর জন্য বিশেষজ্ঞরা যে বিষয়ে সব থেকে বেশি আলোচনা করে থাকে তা হচ্ছে খরচ। এটি বিজনেস পরিচালনার পাশাপাশি কাঁচামাল কেনা থেকে শুরু করে পণ্য তৈরি ও বিক্রি করা পর্যন্ত বিস্তৃত। 

বিজনেস থেকে লস কমাতে হলে এই বিষয়ের উপরে আলাদা ভাবে জোর দিতে হবে। সাধারণত অপ্রয়োজনীয় খরচ বাদ দিয়ে এবং বিকল্প সাপ্লাইয়ার খোঁজার মাধ্যমে খরচ কমানো সম্ভব। বিজনেস পরিচালনা করার সময় আমাদের অনেক ধরনের খরচ করতে হয়। সব সময় এই সকল খরচ যে আমাদের কাজে লাগে এমন নয়। এই জন্য হিসেব করে দেখতে হবে কোন ধরনের খরচ আসলে এই মুহূর্তে প্রয়োজন নেই। সেগুলো খুঁজে বের করে তা কমাতে হবে। 

কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে

কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধি করে

বিজনেস পরিচালনায় কর্মীদের উপরে দায়িত্ব ও কর্তব্য সবথেকে বেশি থাকে। যদি কর্মীদের দক্ষতা কম থাকে তাহলে-

  • সেল কম হয়
  • প্রোডাকশন কম হয়
  • প্রোডাক্ট কোয়ালিটি খারাপ হয়
  • কাস্টমার এক্সপেরিয়েন্স খারাপ হয়
  • কাস্টমার প্রমিজ পূরণ হয় না

ইত্যাদি আরও নানা বিষয় রয়েছে। বুদ্ধিমান বিজনেস ওনার তার কর্মীদের ট্রেইন করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিয়ে থাকে। এতে দুই ধরনের লাভ আছে। এক সঠিক রাস্তায় ইনভেস্টমেন্ট হচ্ছে এবং কর্মীদের দক্ষতা বৃদ্ধির কারণে প্রোডাক্ট কোয়ালিটি বৃদ্ধি পাচ্ছে যা সেল জেনারেট করছে। এতে পক্ষান্তরে বিজনেস থেকে লাভ হচ্ছে বেশি। যা ইনভেস্টের সাথে কম্পেয়ার করলে দেখা যাবে যে লাভের অংশটাই বেশি। 

কর্মী দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য বেশ কিছু কাজ করা যায়। যেমন নিয়মিত ট্রেইনিং, মোটিভেশন, পারফর্মেন্স বোনাস, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্যুর ইত্যাদি। পাশাপাশি টিম লিডার বা ম্যানেজার দিয়ে নিয়মিত কাজের ফলোআপ নেওয়া অনেক কার্যকরী। 

প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি করে 

ডিজিটালাইজেশনের প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে পার্সোনাল ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল জীবন ধারাকে আরও গতিশীল করা। বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট ব্যবহার করে লাখ লাখ মানুষ তাদের ভার্চুয়াল বিজনেস স্থাপিত করেছে। অ্যাকাউন্টিং ও ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার ইউজ করে বিজনেস পরিচালনায় অটোমেশন সংযুক্ত করেছে। 

আগে যেখানে একটি বিজনেস পরিচালনায় প্রতিটি কাজের জন্য আলাদা আলাদা কর্মী প্রয়োজন ছিল সেখানে এখন একজন কর্মী দিয়ে মাল্টিপল কাজ করিয়ে নেওয়া যাচ্ছে। যা বিজনেস পরিচালনা খরচ অনেক কমিয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে যারা বিজনেসে লোকসান করা নিয়ে ঝামেলায় রয়েছে তাদের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে অটোমেশন করা অনেক জরুরি। এতে কাজের গতি বাড়ার সাথে সাথে পরিচালনা খরচ অনেক কমে যাবে। 

অন্যদিকে প্রযুক্তি ইউজ করার কারণে আয়-ব্যয় এবং সঞ্চয় অনেক গোছানোভাবে ম্যানেজ করা যায়। যে কারণে গত বছরের সাথে সাম্প্রতিক ডাটা মিলিয়ে সামনের বছর বিজনেস কোনদিকে যাবে সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। এতে সম্ভাব্য ক্ষতি থেকে বিজনেসকে আংশিক বা পুরোপুরি রক্ষা করা যায়। 

লয়াল কাস্টমার তৈরি করে 

যে কোন বিজনেসের মূল ভিত্তি হচ্ছে লয়াল কাস্টমার। লয়াল কাস্টমার বেসের সব থেকে বড় সুবিধা হচ্ছে তারা যেমন অন্য যায়গায় যাবে না তেমনি ওয়ার্ড অফ মাউথ প্রচারণার কারণে মার্কেটিং খরচ অনেক কমিয়ে আনবে। লয়াল কাস্টমার বেসের অনেক বড় বড় উদাহরণের মধ্যে সেলুন অন্যতম। 

আপনি খেয়াল করে দেখবেন যে আপনি আপনার চুল ছোট করার জন্য সেলুনে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সিরিয়ালের জন্য অপেক্ষা করছেন। অথচ সেই সময়ের মধ্যে অন্য দোকান থেকে চুল কাটিয়ে নিতে পারতেন। কিন্তু আপনি তা করছেন না এবং সচরাচর কেউ তা করতে চায় না। এর কারণ উক্ত নাপিতের প্রতি আপনার একটা ট্রাস্ট কাজ করে যে সে আপনাকে সুন্দর করে আপনার পছন্দমতো চুল কাটিয়ে দিবে। 

বর্তমান সময়ে আমরা যে বড় বড় বিজনেস গুলো দেখে থাকি তারা আজকে এত বড় পর্যায় চলে যাওয়ার পেছনে আসলে এই লয়াল কাস্টমার দায়ী। যাইহোক, একটি বিজনেসে যখন স্টাবল লয়াল কাস্টমার বেস থাকে তখন মার্কেটিং খরচ কমিয়ে আনা যায়। বরং এই কাস্টমারগুলোর মাধ্যমে আরও নতুন কাস্টমার তৈরি হয়। যা ব্যবসায় লোকসান কমানোর কাজ করে থাকে। 

মার্কেটিং কৌশল পরিবর্তন করে 

আমরা জানি বর্তমান প্রতিযোগিতার বাজারে কোন বিজনেস যখন ভালো করতে চায় তখন টাকে ইউনিক ভাবে কাস্টমারের কাছে পৌঁছাতে হয়। আর এই কাজ অনেক সূক্ষ্মভাবে করে থাকে মার্কেটিং। ব্যবসায় লোকসান এড়ানোর জন্য গতানুগতিক মার্কেটিং ধারার পাশাপাশি ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপরে গুরুত্ব দেওয়া জরুরি। 

পাশাপাশি লোকসান সমস্যা সমাধানে বাজার পরিবর্তন করার সাথে কাস্টমার ক্যাটেগরি নিয়েও কাজ করতে হয়। কারণ ভুল কাস্টমারের কাছে প্রোডাক্ট এর মার্কেটিং করে কোন লাভ নেই কারণ তারা কিনবে না। যা শুধু শুধু মার্কেটিং খরচ বাড়াবে এবং সর্বোপরি বিজনেস খরচ বৃদ্ধি করবে। 

যাইহোক সেল বৃদ্ধি করার জন্য বিভিন্ন অফার, ডিস্কাউন্ট বা স্পেশাল প্যাকেজ অনেক কার্যকরী। কাস্টমারের সাইকোলজিতে কোন পণ্যে ছাড় দেওয়া হলে তা প্রয়োজন না হলেও নেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে থাকে। এই কারণে বিজনেস এক্সপার্টগন বিজনেসে লোকসান হলে তা থেকে উত্তরণের জন্য মার্কেটিং পদ্ধতি পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়ে থাকে। 

নগদ বিক্রি বাড়িয়ে

নগদ বিক্রি বাড়ানোর নানা কৌশল রয়েছে। একটি বিজনেসের লোকসান পোষানোর জন্য নগদ আয় অনেক বেশি প্রয়োজনীয়। নগদ বিজনেসে প্রোডাক্ট সেলের বিপরীতে সবসময় টাকা আসতে থাকে। যে কারণে প্রোডাকশনের উপরে আরও জোর দেওয়া যায়। পাশাপাশি আয় এবং ব্যয়ের হিসেব সঠিক ভাবে করা যায়। 

অন্যদিকে নিয়মিত ক্যাশ ফ্লো হওয়ার কারণে অন্য প্রোডাক্টে ইনভেস্ট করতে কোন ঋণ নেওয়ার প্রয়োজন পরে না। এতে দেখা যায় বিজনেসের টাকা দিয়েই বিজনেস বৃদ্ধি করা যাচ্ছে। যা ব্যবসার পূর্ববর্তী লোকসান কমানোতে সহায়তা করে থাকে। 

পরিকল্পিত বাজেট তৈরি করে

বিজনেসে লোকসান হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে অপরিকল্পিত বাজেট পরিকল্পনা। বাজেড পরিকল্পনার উপরেই মূলত কি পরিমাণে আয় হবে অথবা আমরা বিজনেস কত দূর পর্যন্ত নিয়ে যাব তা নির্ভর করে। বাজেটের ভেতরে বিজনেসের পরিচালনা খরচ, কর্মীদের বেতন, প্রোডাকশন খরচ, মার্কেটিং খরচ সহ আরও অনেক আনুষঙ্গিক খরচ থাকে। 

বিজনেসকে এগিয়ে নিতে এই সকল বিষয়ে যদি সঠিক ভাবে বাজেট নির্ধারণ করা হয় তাহলে অতিরিক্ত খরচ হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়। পাশাপাশি বিজনেস থেকে বেশি পরিমাণে আয় হওয়ার সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়। বিজনেসের ধরণ অনুযায়ী মাসিক বা বার্ষিক দুই ধরনের বাজেট পরিকল্পনা করা যেতে পারে। 

ইমারজেন্সি ফান্ড তৈরি করে

ইমারজেন্সি ফান্ড এর কাজ হচ্ছে বিপদে সাহায্য করা। বিশেষ করে বিজনেস পরি চালনা করার জন্য এই ফান্ড রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। মূলত ইমারজেন্সি ফান্ড তৈরি করাকে ফাইনান্সিয়াল ম্যানেজমেন্টের একটি কৌশল হিসেবে ধরা হয়। এই সিস্টেমে আলাদাভাবে নিয়মিত কিছু করে অর্থ জমা করা হয়। 

এই অর্থ শুধু জরুরি মুহূর্তে খরচ করার জন্য জমা করা হয়। এটি অনেকটা সঞ্চয়ের মতো কাজ করে। তবে এই দুইটির মধ্যে প্রধান পার্থক্য হচ্ছে ব্যবহারবিধি। বিজনেসে আপদ-বিপদ এবং লোকসান মোকাবেলা করার জন্য ইমারজেন্সি ফান্ড রাখা অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং দূরদর্শিতার বহিঃপ্রকাশ। 

বিজনেস কানেকশন মেইন্টেইন করে 

বিজনেস ওনার হিসেবে নিয়মিত কানেকশন তৈরি করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কর্মীদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখার পাশাপাশি যদি ক্লাইন্ট দের সাথে কানেকশন রাখা যায় তাহলে বিজনেসে সম্ভাব্য লোকসান কমানো সম্ভব। যাইহোক, বিজনেস কানেকশন বৃদ্ধি করার মাধ্যমে যে সুবিধা হয় তা হচ্ছে নতুন ক্লাইন্ট পাওয়া যায়। 

ধরুন আপনি দুপুরে খাওয়ার জন্য হোটেল বা রেস্টুরেন্ট খুঁজছেন। আপনি যেখানে আছেন সেখানে বেশকিছু ভাতের হোটেল রয়েছে। এখন এই সব হোটেলগুলোর মধ্যে আপনি কোনটাতে খাবেন? আপনার এই ডিসিশন মেকিং করতে সহায়তা করবে হোটেলের ডেকোরেশন, স্টাফ ও খাবারের কোয়ালিটি। 

কিন্তু স্টাফ এবং খাবারের কোয়ালিটি জানার আগে ফার্স্ট ইম্প্রেশন হবে ডেকোরেশন। পাশাপাশি হোটেলের মালিক যদি সামনে বসে আপনাকে ওয়েলকাম করে এবং একই হোটেলে ভাত খায় তাহলে কিন্তু আপনার খাবারের প্রতি ট্রাস্ট আরও বৃদ্ধি পাবে। ছোট বিজনেস থেকে শুরু করে কর্পোরেট সকল ধরনের বিজনেসের ক্ষেত্রেই এই পদ্ধতি কাজ করে।  

কার্যকরী ইনভেস্টমেন্ট

কার্যকরী ইনভেস্টমেন্ট

বিজনেসে লোকসান কমানোর জন্য ইনভেস্টমেন্ট অনেক বড় ধরনের ক্রাইটেরিয়া। বাজেট ম্যানেজমেন্টের মধ্যে ইনভেস্টমেন্ট অনেক বড় যাওয়া দখল করে রয়েছে। বুঝে শুনে বিজনেসে ইনভেস্ট করা উচিত। সঠিক পরিকল্পনা না করে ইনভেস্ট করলে তা থেকে লসের সম্ভাবনা অনেক বেশি। 

যাইহোক, বিজনেস গ্রো করার জন্য সবার প্রথমে কোয়ালিটি প্রোডাক্ট তৈরিতে মনোযোগ দিতে হবে। তারপর কর্মী এবং তাদের ম্যানেজ করার জন্য এক্সপার্ট নিয়োগ দিতে হবে। এক্সপার্ট কর্মী থাকলে কাজের গতি যেমন বাড়ে তেমনি আয় বৃদ্ধি পায়। অন্যদিকে ভুলপথে ইনভেস্ট যেমন যে প্রোডাক্ট মার্কেটে চলবে না তার উপরে ইনভেস্ট করা বোকামি হবে। 

তারপর বিজনেসের প্রতি লয়াল কর্মীদের সালারি ও অন্যান্য সুবিধা নিশ্চিত করতে কাজ করতে হবে। অন্য কোম্পানি বা বিজনেসে ইনভেস্ট করার ক্ষেত্রে ভালো করে যাচাই করে নিতে হবে। সর্বোপরি বিজনেসে সঠিক যায়গায় ইনভেস্ট করতে হবে। না হলে লোকসান কমানো অনেক কঠিন হয়ে পরবে।

বিভিন্ন পরিস্থিতির জন্য আর্থিক মডেল তৈরি করা

ফাইনান্স মডেল বিপদ পরবর্তী পদক্ষেপ হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ এই মডেলে আপনাকে বিজনেসের ৬ মাস বা ১ বছর আগের ডাটার সাথে বর্তমান ডাটা এবং পারিপার্শ্বিক অন্যান্য বিষয়ের সাথে কম্পেয়ার করতে হবে। কম্পেয়ার করা হলে লাভ ও লসের হিসেব এবং কারণ খুঁজে পাওয়া সহজ হবে। 

পরবর্তীতে এই সকল ডাটার উপর ভিত্তি করে বিজনেসে লোকসান হলে তা কীভাবে রিকভার করতে হবে তার প্ল্যান তৈরি করে নিতে হবে। এটা অনেকটা ফেইলসেফের মতো কাজ করে। আর্থিক মডেল তৈরির জন্য যে যে বিষয় গুলোতে বেশি গুরুত্ব দিতে হয় তা হচ্ছে- 

  • বছরের কোন সময় সেল কমে যাবে
  • কি পরিমাণ লোকসান হলে কস্ট কাটিং করতে হবে
  • বছরে কি পরিমাণ প্রোডাক্ট তৈরি ও বিক্রি করতে হবে
  • কি পরিমাণে প্রফিট করতে হবে

উপরে বর্ণিত বিষয় গুলোর উপর ভিত্তি করে আর্থিক মডেল তৈরি করতে হবে। এই মডেলের মূল কাজ হবে যখন বিজনেস লোকসানে চলবে তখন যেন এখান থেকে আর্থিক সাপোর্ট পাওয়া যায়। 

শেষ কথা

বিজনেসে অনেক কারণেই লস হতে পারে। একজন পাক্কা বিজনেসম্যানের পরিচয় হচ্ছে সে কত দ্রুত ও ইফেক্টিভভাবে বিজনেস রিকভার করতে পারছে। যাইহোক আমাদের আজকের আলোচনায় যে কোন পরিস্থিতিতে ব্যবসায় লোকসান পোষানোর উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এখানে যে যে পদ্ধতি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়েছে তা অনুসরণ করলে দ্রুত সময়ে রিকভার করা সম্ভব।